বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি:: কেরানীগঞ্জের আটিবাজার এলাকায় ‘ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিয়াল’ নামে একটি শো-রুম ও শো-রুমের মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ীতে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আগুন দেয়ার আগে ওই শোরুম থেকে প্রায় কোটি টাকার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পন্য লুট করা হয়। এঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শো-রুমের মালিক রফিকুল ইসলাম।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বন) দুপুরে রফিকুল ইসলাম আটিবাজারে তার অপর একটি ইলেকট্রনিক দোকানে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলামের চাচা রমযান আলী মেগা, লুৎফর রহমান ভাসানী, আনোয়ার হোসেন।
রফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে স্থানীয় তাজিম উদ্দিন, ফয়েজ আলী, মো: আবু ও নাজিম উদ্দিন সহ ৫/৭ লোক আমার শো-রুমে ঢুকে ৩০টি এলইডি টিভি, ১৮০০ পিস ব্যালেন্ডার মেশিন, ৬০০ পিস আয়রন মেশিন, ৮০০ পিস বৈদ্যুতিক চুলা লুট করে। যার বাজারমূল্য প্রায় কোটি টাকা। যাওয়ার সময় তারা শো-রুম ও শো-রুমের সামনে থাকা একটি পিক-আপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ীটির মুল্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা।
রফিকুল ইসলামের চাচা রমযান আলী মেগা বলেন, শো-রুমের পাশেই আমার বাড়ি। ঘটনার দিন রাত ৩ টার সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বারান্দার টয়লেটে যাওয়ার সময় আসামীদের দেখতে পাই।
রফিকুল ইসলাম জানান, লুটতরাজকারীরা তার পুর্বপরিচিত। তাদের সঙ্গে দোকানের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ রয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে তারা আমাকে, আমার স্ত্রী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে মারধরের মিথ্যা মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে। পরদিন অভিযুক্তরা কর্মচারীদের বের করে দিয়ে শো-রুমে তালা মেরে দেয়। একইদিন আমি জামিন পেয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় চলে যাই। এই সুযোগে তারা আমার শো-রুমে লুটতরাজ করেছে। আমি এর বিচার চাই।
অভিযুক্তদের মধ্যে তাজিম উদ্দিনের মোবাইলে কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মনিরুল হক ডাবলু বলেন, রফিকুল ইসলামের দায়ের করা অভিযোগটি আমরা তদন্ত করছি।